অবশেষে স্কুল বন্ধের মধ্য দিয়ে একটা ছুটি ছুটি মুডের শুরু হলো … যদিও শেষ হইয়াও হইলো না শেষ-এর মতো ১৮ তারিখ পর্যন্ত ভার্সিটির ক্লাস চলবে … তবুও একটা শান্তি যে যেদিন ক্লাস থাকবে ওইদিনই খালি বের হবো … বাকি দিনগুলোতে একটু নিজের মতো করে সময় কাটানো যাবে …
কিন্তু, যতটা খুশি খুশি মন নিয়ে এই ছুটি ছুটি মুডে থাকার কথা ছিলো, ততটাই বিরক্তি নিয়ে গত দুইটা দিন পার করছি … বিরক্তির কারণ জাপান স্টাডি সেন্টারের কয়েকজন ক্লাসমেট …
কাহিনী অনেক বিশাল … তাও একটু সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করি … আমাদের ক্লাসের বেশিরভাগ স্টুডেন্ট এর পড়ালেখা, ক্লাস করার ব্যাপারে জিরো লেভেলের রিলাকটেন্সি দেখলে মনে হয় যে এরা ধরেই নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায়ও এরা খালি পরীক্ষা দিয়ে পাস করে সার্টিফিকেট নিবে এই ধান্দায় আছে … অথচ জাপান স্টাডি সেন্টারে পড়ালেখার অনেক প্রেশার … আর টিচাররাও পড়ালেখা, ক্লাসের উপস্থিতি, সময়সূচি এগুলো নিয়ে খুব সিরিয়াস … আর সেমিস্টার সিস্টেম বলে লাগাতার পরীক্ষা লেগেই থাকে … এই যে মাত্র ইনকোর্স শুরু হলো … তারপর খুলেই মিডটার্ম … আর তারপরেই ফাইনাল পরীক্ষা … দম ফেলার সময় নাই … ভালো রেজাল্ট করবো এটাই তো উদ্দেশ্য … এত টাকা খরচ করে ভর্তি হয়েছি, ঘুরে ফিরে বেড়ানোর জন্য তো না … তো, এর মধ্যে ক্লাস টাইম, পরীক্ষার টাইম এইগুলা নানান ইস্যুতে একদল বলা শুরু করলো যে তারা যেহেতু চাকরি করে, তাই ৫ টা সময় পরীক্ষা বা ক্লাস দিলে সেটা তাদের পক্ষে করা সম্ভব না … সবচেয়ে ভালো হয় সাড়ে ৬টা হলে … তো, এর মধ্যেই দিলরুবা ম্যাম’এর ক্লাসে আমরা কয়েকজন কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলাম যে আমরা তো এমনিতেই ৫টার মধ্যে ভার্সিটি থাকি, ৫টায় ক্লাস হলে আমাদের অসুবিধা নাই … তো সেই কথার সূত্র ধরে এক ক্লাসমেট ফেসবুকের আমাদের ব্যাচের যে গ্রুপটা আছে সেখানে লিখলো যে ‘ আমাদের ক্লাসে কয়েকজন আবাল আছে, যারা নাকি ৫টায় আসে, আবার ম্যামকে বলে ৫টায় ক্লাস নিতে’ … আমি, প্রতীতি আর ইফা এই কথার প্রতিবাদ করেছিলাম জোরেসোরেই … এবং সেই ক্লাসমেট এবং আরেকজনের সাথে ইভেনচুয়ালি আমাদের বেশ যুক্তি –তর্ক হয় … তো, সেই ক্লাসমেট আমাদের খুব বোঝালো যে আবাল আসলে কোনো গালি না, এইটার অর্থ ‘নাবালক’ , উনিও সেই অর্থেই নাকি এটা বলেছে এই সেই … আমরা আর তাকে কিছু বোঝাতে যাই নাই, কারণ বোঝাই গেলো নিজের ফল্টকে জাস্টিফাই করার জন্য সে বিভিন্ন খোঁড়া যুক্তি দিতেই থাকবে, আর আমাদেরও বিরক্ত লাগতেই থাকবে …
তো, এর মধ্যে আর তাদের সাথে কোনো এনকাউন্টার হয়নাই আমাদের … পারতপক্ষে তাদের সাথে আসলে কথা বলারই প্রয়োজন বোধ করি নাই … ধরেই নিয়েছিলাম যে এরা দুই বছর যদি কোনোভাবে টিকেও যায়, তাইলে এইরকম পেইনই দিয়ে যাবে … সো দ্য বেস্ট পলিসি ইজ টু ইগ্নোর … পড়ালেখা করতে আসছি … নিজের হেল্পটা নিজেই করতে পারি … আর এরা হচ্ছে সম্ভাবনাময় ‘ফেইল্টুস’ স্টুডেন্ট … আল্টিমেটলি বেশিদূর এরা পড়ালেখা দিয়ে যেতে পারবে না, সো তাদের কাছ থেকে পড়ালেখা সংক্রান্ত হেল্প নেয়ারও কোনো কারণ নাই … সো, এদের সাথে ইন্টারঅ্যাকশনের কোনো প্রয়োজন নাই বোধ করেই চলতে থাকলাম …
কিন্তু, তারা যে আসলেই পেইনফুল, এবং যথেষ্টই প্রবলেমেটিক সেটার একটা বড় প্রমাণ তারা দুইদিন ধরে দিচ্ছে … এই শনিবার দিন মামুন স্যারের ক্লাস ছিলো … তো, স্যার আমাদেরকে গ্রুপ স্টাডি করতে দিয়েছিলেন একেকটা চ্যাপ্টার ধরে … উনি ওইদিন যেই চ্যাপ্টারটা পড়াচ্ছিলেন, সেটা রিলেটেড টপিক যেই গ্রুপের ছিলো তাদেরকে উনি সামনে এসে প্রেজেন্টেশন দিতে বললেন। এর মধ্যে উনার জরুরি কাজে নিচে যেতে হলো … উনি ঐ গ্রুপটাকে প্রেজেন্টেশন কন্টিনিউ করতে বলে চলে গেলেন … এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি বোধহয় লিখেছিলাম শনিবারদিনের দিনযাপনে … এখন মনে পড়লো … যারা পড়েছে তারা হয়তো কানেক্ট করতে পারবে … তো, যেটা হলো যে আমরা যখন মুখ ফুটে বলে দিয়েছিলাম যে পেছনের দিকে বসা কয়েকজনের কারণে আমরা কিছুই শুনতে পারি নাই, তখন স্যার ডেফিনিটলিই খুব আহত হয়েছিলেন। আর তার পরপরই ঘটনাচক্রে উনি এক ছেলেকে ক্লাস থেকে বের করে দেন। সেই ছেলেও যে খুব শহুরে, স্মার্ট তা না … যারা প্রেজেন্টেশন দিচ্ছিলো তাদেরকে স্যার বলেছিলো ওকে একটা প্রশ্ন করতে, সেই প্রশ্নের উত্তর সে পারে নাই। স্যার নিশ্চয়ই ভেবে নিয়েছেন যে ও এতক্ষণ প্রেজেন্টেশনের কিছুই শোনে নাই … তো, স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখন কেমন লাগছে?’ … ওই ছেলের যেরকম সেন্স, সে এর উত্তরে বলেছে ‘ ভালো’! … স্যার তখন রেগে গিয়ে তাকে ক্লাস থেকে বের করে দিলেন! … ব্যাপারটা খুব অড একটা ইন্সট্যান্স ছিলো … কিন্তু আমার মনে হইসে ঐ সময়ের কন্টেক্সটে স্যার এটা করেছে অন্যদেরকে এক্সামপল দেখাতে যে স্যার চাইলে অন্যদেরকেও এরকম পানিশমেন্ট দিতে পারেন। তবে, স্যার যেরকম টাইপের মানুষ, তাতে ওই ছেলে পরদিন এসে মাপ-টাপ চাইলেই স্যার একেবারে বুকে টেনে নিয়ে হাসিমুখে তাকে ক্লাসে ঢুকতে দিতো। এমনকি যদি স্যার যখন বলসে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাও, তখনও যদি সে সরি-টরি বলতো তাইলেও হইতো … আসলে ইন্সট্যান্স অভ দ্য মোমেন্টাম এমন ছিলো যে সবাই-ই একটু অপ্রস্তুত বোধ করেছি যে আসলে ঘটনাটা কি হইলো! …
নর্মালি কিন্তু ব্যাপারটা এখানেই মিটে যাওয়ার কথা! … কিন্তু এই ব্যাপারটাই এখন একটা বিশাল কাহিনীতে রূপ নিসে … ঐ ছেলে, মানে যাকে বের করে দিলেন স্যার … সে রাতের বেলা ফেসবুকের গ্রুপটায় পোস্ট দিসে যে ক্লাসে যখন স্যার থাকে না তখন স্টুডেন্টরা ‘গসিপ’ করতেই পারে, এইটা কোনো দোষের কিছু না … কিন্তু সেটা আবার কিছু ফ্রেন্ডস স্যারকে কমপ্লেইন করবে সেটা ঠিক না … এই জাপান স্টাডি সেন্টারের ১৩ তম ব্যাচ একটা পরিবারের মতো … পরিবারের কোনো সদস্য যদি তার পরিবারের অন্যদের ব্যাপারে কিছু বলে তাহলে তার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ … ঘটনাচক্রে, এই পোস্টের কাহিনীর সময় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম! … ইফা আর প্রতীতি দুইজনেই এইসব কথার অনেক প্রতিবাদ করসে … সেই যে ‘আবাল’ কাহিনীর দুই হোতা, তারাই আবার এখানে খুব সরবে প্রতীতি আর ইফার কথায় নাকি পালটা মন্তব্য করসে … আর তারপর ইফা, প্রতীতি আর আমাকে ফেসবুকের ঐ গ্রুপ থেকে ব্লকও করে দিসে! … আর আমি এই সমস্ত কাহিনীর ব্যাপারে জানতে পারসি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে! প্রথমত দেখি যে গ্রুপে ঢুকতে পারতেসি না, এমনকি গ্রুপের কোনো হদিস-ই পাচ্ছি না! … তারপর দেখি প্রতীতি আর ইফার মেসেজ এসে আছে আমাদের ৩ জনের গ্রুপ চ্যাটটায় … সারাদিনে তো জানা যায় নাই কাহিনী কি … বিকালে বাসায় এসে প্রতীতির কাছে ফোন করে সব শুনলাম! ….. যাবতীয় কথাবার্তা, মন্তব্য শুনে-টুনে আমি হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতেসিলাম না! … এই মাস্টার্স লেভেলে এসে, তাও আবার প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সে এসে যদি এইরকম কাহিনীর মধ্যে পড়তে হয়! … এইগুলা স্কুলে/কলেজ লেভেলে হইলে মানাইতো! …
এর মধ্যে আবার শুনলাম যে ঐ গ্রুপে নাকি আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে যাচ্ছে ঐ দুই মূল হোতা! পুরাই নাকি বিপ্লব ঘটায় দেয়ার মতো ব্যাপার-স্যাপার! সমাবেশ-টমাবেশও নাকি করবে! … কি অবস্থা! … কি পর্যায়ের লেইম হইলে মানুষ এইসব করতে পারে! … তাও আবার এই টাইপের একটা ইস্যু নিয়ে! …
আজকে ক্লাস ছিলো … দেখলাম যে ক্লাসের আগে-পরে বেশ দল বেঁধে আলোচনা হচ্ছে তাদের নেতৃত্বে … এর পরে জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও টাইপের মিছিলই বের করে কি না কে জানে! … এরা যেরকম লেইম, এদের পক্ষে সেটাও সম্ভব! … অবাক হবো না যদি এরকম কিছু করে! …
আজকে ক্লাসে অবশ্য কেউই আমাদের সাথে কিছু বলতে আসে নাই … আমরাও খুব রিলাক্টেন্ট ছিলাম … প্রতীতি আর ইফা অবশ্য একটু অসহিষ্ণু … কেউ এসে একটু হাসি দিয়ে, সিমপ্যাথি দিয়ে কথা বললেই গলে যায় টাইপের … প্রতীতি তাও কিছুটা বুদ্ধি নিয়ে চলে, কিন্তু ইফা পুরাই ইম্যাচিউরড! … পুরো ব্যাপারটা যদি এখন একটা ডিপার্টমেন্টাল ইস্যু হয়ে যায়, টিচাররা এবং ডিরেক্টর স্যার পর্যন্ত চলে যায়, তাহলে যে আমাদের এখন কোনোরকম অসহিষ্ণুতা দেখানো যাবে না, কিংবা এমন কিছু করা যাবে না যাতে এটা বলার অপশন থাকে যে ‘তোমরাও তো ছেলেমানুষি করতেসো’ এইটা বিশেষ করে ইফা বুঝতেসে না … ও দেখি মাথা গরম করে আলাদা কাউন্টার গ্রুপ খুলবে টাইপের প্ল্যান করতেসে! ঐখানে নাকি সবাইকে অ্যাড করে দেখায় দিবে যে নতুন গ্রুপটাই বেশি পপুলার! আমি তো খুবই বিরক্ত হলাম! এইরকম কিছু যদি করে তাহলে তো সেই ওদের মতোই হয়ে যাবে ব্যাপারটা … আবার এর মধ্যে কে কি বলসে ওকে, ও সেটায় ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে আমাদের দুইজনকেই জিজ্ঞেস করে যে আমরা এমন করসি কেন! ওকে এটা বুঝাতে পারছি না যে এখন অনেকেই হেসে হেসে, সিম্প্যাথি জানায়, বন্ধুসুলভ আচরণ করে আমাদের কাছ থেকে ইনফরমেশন বের করতে চাইবে, কিংবা আমাদের মুখ দিয়ে একটা কিছু কথা কোট করাতে চাইবে … সুতরাং এখন আমাদেরকে অনেক রিজার্ভ থাকতে হবে, এবং খুব স্মার্টলিই পুরো ব্যাপারটা হ্যান্ডল করতে হবে … ইফা আর প্রতীতির বয়স কম, প্রতীতি যতটুকুও ম্যাচিউরড, ইফা তাও না! … ওদের বয়স ২৪/২৫ হবে, আর আমার ৩০ … ৫/৬ বছরের সিনিয়র হবার ফলে চিন্তা-ভাবনায়,দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছুটা হলেও ওদের চেয়ে ম্যাচিউরিটি আছে …ওদের জীবনযাপন, অভিজ্ঞতার দৌড় ভার্সিটির গন্ডি পর্যন্তই, আর আমি বারো হাটে ঘুরে ফিরে বারো রকমের মানুষ ডিল করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা মানুষ … সো, ওরা বিষয়টা যতটা ছেলেমানুষী জায়গা থেকে ডিল করতেসে, আমি ততটাই সিরিয়াস জায়গা থেকে সবকিছু দেখতেসি … যারা এই সমস্ত কাহিনীর মূল হোতা, তারা নুনুর আগায় বুদ্ধি নিয়ে ঘোরা টাইপের মানুষ … এদের মাথায় আসলে মগজ থাকলেও, তার চর্চা এরা নুনুর উত্তেজনা দিয়েই করে … ফলে এরা যে পুরা বিষয়টা নিয়েই অনেক ত্যানা প্যাচাবে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে … এখানে এখন আবার ইফা, প্রতীতি এরা মাথা গরম করে কিছু বলে বা করে না বসলেই হয় …
ইতিমধ্যেই এরকম একটা কথাও উঠেছে যে আমরা নাকি ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভকে মূর্খ, ছোটোলোক এসব বলেছি! … আমি তো বলিই নাই … প্রতীতিও বলে নাই, এইটা আমি নিশ্চিত কারণ যেই সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন প্রতীতি আমার পাশেই ছিলো … ইফা আবার সেটা কার কাছে শুনেছে, তারপর সেও একটু ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে গেলো যে আমরা বোধহয় আসলেই এমন কিছু বলেছি! … কি আজিব! … ওকে পরে অনেককিছু যুক্তি-তর্ক দিয়ে আমরা বুঝালাম যে আমরা এরকম কিছু বলি নাই … ও যেরকম বাচ্চা আর ইজিলি ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে যাওয়া টাইপের দেখলাম, ও আমাদের কথা বিশ্বাস করলেই হয়, আর তারপর স্মার্টলি অন্যের কান কথাগুলো ট্যাকল দিতে পারলেই হয় …
সবসময়ই আমি শুনে এসেছি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে অনার্স করা একজন স্টুডেন্ট-এর সাথে অন্য যে কোনো বিদ্যাপীঠের স্টুডেন্ট-এর ওরিয়েন্টেশনেই নাকি যোজন যোজন ফারাক … আমি কথাটা খুব একটা মানতাম না … আমার যুক্তি ছিলো যে পড়ালেখা করার নেক যার আছে, এবং পারসোনালিটি ট্রেইট যার ওয়েল কম্পোজড, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন, আবু জরগিফারির মতো কলেজে গিয়ে পড়লেও ভালো করবে … কিন্তু, এখন, এই বারো রকম মানুষের সাথে মাস্টার্স করতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝতেসি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরা ‘ডিফারেন্ট’ এইটা অনেক ক্ষেত্রে খুব বড় একটা সত্যি … এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টেশনের কারণেই আমি একটা জিনিস যেভাবে ইন্টারপ্রেট করতে পারছি, টিচারদের সাথে যেভাবে ডিল করতে পারছি, সিস্টেমগুলা যেভাবে ধরতে পারছি, একজন নন-ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট আসলে সেটা কোনোভাবেই পারবে না … ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভাও বুঝতে বুঝতেই তাদের দুই বছর কেটে যাবে, কিন্তু তখন আর তাদের কোনো হেল্প হবে না …
যাই হোক, বিশাল কাহিনী লিখে ফেললাম …
আরেকটা কাহিনী আছে আজকে … সেটাও লিখি … সোহেল সংক্রান্ত কাহিনী … আজকে এত রকম কাহিনীর মধ্যে রাস্তায় ঘটনাচক্রে ওর চেহারা দেখাটাও একটা মেজাজ খারাপ করা ফ্যাক্টর … আমি ভার্সিটি থেকে নিশাতের বাসায় যাচ্ছি গেম অভ থ্রন্স দেখবো বলে … এর মধ্যে আট নাম্বার ব্রিজের ওপরে উঠতে না উঠতেই আমার রিকশার পাশের রিকশাতেই সোহেলকে থাকতে হবে? … আমি রিকশায় হুড টেনে রেখেছিলাম বলে ও আমাকে দেখে নাই … আট নাম্বারের ব্রিজ পার হয়ে ও অবশ্য একদিকে চলে গেলো, আর আমার রিকশা আরেকদিকে … কিন্তু ওর চেহারা দেখে আমার যে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো, সেই মেজাজ গেম অভ থ্রন্স দেখেও ঠাণ্ডা হলো না … আবার তারপর তো ইফার ‘কাউন্টার গ্রুপ’ খোলার বিষয়টা নিয়ে আরো বিরক্তি তৈরি হলো …
আজকে আসলে আগাগোড়াই একটা বাজে দিন গেছে বলা যায় … ইন ফ্যাক্ট গতকালকে থেকেই যাচ্ছে … মামুন স্যারের কোর্সের পরীক্ষা ১৮ তারিখ … সেইটার পড়া যে পড়বো, কোনোভাবেই মনোযোগ দিতে পারছি না … মাথার মধ্যে এইসব কাহিনীর টেনশন থাকলে আর কিছুতে মন দেয়া যায়? …
কিন্তু পড়ালেখা তো করতে হবে … মাথা থেকে এইগুলা ঝেড়ে ফেলা দরকার … ছুটির মধ্যে অনেক কাজ … দিলরুবা ম্যাডাম আবার টার্ম পেপারের অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন … এদিকে স্কুলেরও অনেকগুলা কাজ … সামনের সেশনে ৫টা ক্লাসের ভূগোল আর বাংলাদেশ স্টাডিজ নিতে হবে আমার … সুতরাং সবকিছুর ৫ সেট করে হিসাব এখন … লেসন প্ল্যান, ওয়ার্কশিট … এর মধ্যে আমাকে একটা ক্লাসের ক্লাস টিচারও বানিয়েছে … সুতরাং দায়িত্ব অনেক … কাজ অনেক … আর পড়ালেখার চাপ তো আছেই …
যাই হোক, আজকে আর লিখবো না … যথেষ্ট পরচর্চা হয়েছে … কিন্তু নিজের জায়গাটা ক্লিয়ার রাখার জন্যই এগুলো লিখে রাখাটা দরকার ছিলো বলে মনে করি … শত হলেও, ভুল কিছুর জন্য মিসআন্ডারস্টুড হবার ইচ্ছা আমার নাই … যা বলি মুখের ওপরেই বলি, এবং সত্যিটাই বলি … একা একজনের ঘটনা হলে সেটা মেইনটেইন করা সহজ, কিন্তু একই ঘটনায় যখন দুই/তিনজন জড়ানো, তখন নিজের জায়গায় ক্লিয়ার থাকাটা খুব ইম্পোর্ট্যান্ট … অন্তত আমার জন্য … দ্য ওয়ার্ল্ড লাইকস ইট, ওর নট …