৫ অক্টোবর … একটা ভুলে যেতে চাওয়া দিন … অথচ ভোলার কোনো লক্ষণ নিজের ভেতরে কোথাও নেই …
কেমন একটা জানি দিন গেলো আজকে … চলছি, কিন্তু কিছুই যেন অনুভব করছি না … কাজের ব্যস্ততা যেমন ছিলো। তেমনি ছিলো একটা ঘোর লাগা ভাব … অথচ স্কুলে গেলাম, ভার্সিটির ক্লাসও করলাম … দৌড়ের ওপর থাকার কারণে একটা ভালো হলো যে আবেগের লাগাম ছিটকে যাবার সুযোগ হলো না … বাসায় ফেরার সময়টায়ও নাবিল সাথে ছিলো, তাতে করে হয়তো সিএনজিতে একা একা বসে সাতপাঁচ ভেবে ভেবে ইমোশনাল হয়ে যাবার সুযোগ হয়নাই …
কিন্তু, আজকে বাসায় ফেরার পথে কিছুটা রাস্তা খুব ভয় পেয়ে এসেছি … ২ নাম্বার থেকে বাসা পর্যন্ত রাস্তাটুকু রিকশায় এসেছি … টিএসসিতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা সিএনজি পেলাম, সে আবার ১২ নাম্বার পর্যন্ত যাবে না, ১ নাম্বারে নামলে সে যেতে রাজি … আমার সাথে নাবিল ছিলো, তো আমরা উঠে পড়লাম সিএনজিতে …২ নাম্বারে নেমে রিকশা নেয়ার পর নাবিল প্রশিকা মোড়ে নামলো, ওর বাড়ি শিয়ালবাড়ি … তো ওইটুকু থেকে বাসা পর্যন্ত রাস্তাটুকু আমার হঠাৎ কেমন ভয় লাগতে শুরু করলো … খালি মনে হলো রিকশাওয়ালার কোনো একটা বদ মতলব আছে … দেখলাম সে খালি পেছনের দিকে তাকাচ্ছে … আমার দিকে না, আমারো পেছনে … অ্যাজ ইফ পেছনে কেউ আছে কি না সেটা দেখছে … আর চৌরঙ্গি আসবো দেখে সে মেইন রোড দিয়ে না এসে মিল্ক ভিটার সামনে দিয়ে আসছিলো … রাত প্রায় সাড়ে ১০টা বাজে, এমনিতেই গলিগুলো শুনশান, ফাঁকা … আমার রীতিমতো হার্টবিট বেড়ে গেলো … এদিকে একটার পর একটা মোটরসাইকেলের শব্দ হচ্ছে পেছন থেকে, আর আমি ভাবছি এই বুঝি ওই রিকশাওয়ালার সাথে চুক্তি করা কোনো বাইক আসছে, এখনই হয়তো ব্যাগ টান দেবে … আমি শক্ত করে ব্যাগটাকে জাপ্টে ধরে বসে রইলাম … রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থা!
কেন যে হঠাৎ এত ভয় লাগলো জানি না … মেইন রোড দিয়ে আসলে হয়তো ভয় লাগতো না …
আজকে আরেকটা কাহিনী করেছি … গতকালকে বেতনের টাকা পেয়েছিলাম স্কুল থেকে … এমন একটা হুড়াহুড়ি আর রেস্টলেস অবস্থার মধ্যে টাকার খামটা ময়না আপা হাতে ধরায় দিলো, আমিও এনে ওই রেস্টলেস অবস্থার মধ্যেই ওইটা মনে হয় আমার টেবিলের ওপরে কোনো একটা রেজিস্টার খাতার ভেতরে রেখে আবার আরেক জায়গায় দৌড়িয়েছি … আজকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওইটার কথা মনেই পড়লো না! … আজকে সন্ধ্যাতেও মনে পড়তো না হয়তো যদি না ক্লাস থেকে বের হয়ে নাবিল আর সামি’র সাথে কমার্স ফ্যকাল্টির ফুড কোর্টে গিয়ে বসতাম … নাবিল আর সামি ডিইউএফএস-এর জুনিয়র … ওরা আবার জাপানিজ স্টাডিজেও ভর্তি হয়েছে এবার … ফলে ওদের সাথে বেশ ভালোই আড্ডাবাজি হয় এখন ক্লাসের পরে…তো যাই হোক, আজকে ক্লাস শেষে বের হয়ে এফবিএস-এর ফুড কোর্টে গেলাম … পাস্তা খাবো বলে … ডেফিনিটলি আমারই টাকাটা পে করার কথা … তো ওখানে গিয়ে বসে টাকা বের করতে গিয়ে দেখি খামটাই তো ব্যাগে নাই! … এখন ওইটা কি রেজিস্টারেই রেখেছি না অন্য কোথাও মিসপ্লেস হয়েছে সেইটা নিয়ে আমি ব্যাপক টেনশনে পড়ে গেলাম …তাছাড়া, ওদের দুইজনের কাছে আমার ইম্প্রেশনটাও বা কেমন হলো? … কি বিব্রতকর! … সামি গিয়ে বুথ থেকে টাকা তুলে এনে টাকা দিলো! … কি যে করি আমি!
আর এই পুরোটা সপ্তাহই কেমন অন্যমনস্কতায় কেটেছে … এটা ভুলে গেছি … ওটা ভুলে গেছি … এটা করেছি … ওটা করি নাই …
৫ তারিখে এইটকু লিখে আর দিনযাপন শেষ করা হয়নাই … ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে … কালকেও তাই … আর আজকে তো দুপুর প্রায় পৌনে একটা পর্যন্ত ঘুমালাম … তারপর আবার বের হয়ে গেছি আড়াইটার দিকে … ফিরলাম এই সোয়া ১০টার দিকে …
তো, আজকে মনে হলো যে ওই ইনকমপ্লিট দিনযাপনের সাথেই আজকের দিনযাপন জুড়ে দেই … না হলে ইনকমপ্লিট লেখাগুলো হারিয়ে যায়! … এখন অবশ্য আমি দিনযাপন লিখি গুগল ডক-এ, সো হারানোর সম্ভাবনা খুব একটা নাই …
আজকের দিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঘটনা ফ্রেঞ্চ ক্লাসের শুরু … আজকেই প্রথম ক্লাস ছিলো … আনিকা হোসেইন নামে একজন আমাদের ক্লাস টিচার … দেখা গেলো উনি আবার আমাকে রিকগনাইজ করতে পারলেন যে আমাকে নাকি উনি বিবিসি-তে দেখেছেন … ওখানে উনিও রিসার্চ-এর কোনো একটা কাজ করেন … আমি উনাকে কখনো দেখেছি বলে খেয়াল করতে পারলাম না অবশ্য … তো যাই হোক, দুনিয়া গোল – এটাই আবার প্রমাণ মিললো … আবার দেখা গেলো যে আরেকটা মেয়ে আছে, নাজিফা নাম … সে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ল পড়ছে … তো কথায় কথায় হঠাৎ আমার মনে পড়লো যে তৃষাও তো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ল-এরই টিচার …দেখা গেলো যে ও তৃষার ক্লাস পেয়েছে, সো তৃষার স্টুডেন্ট! … এদিকে ফ্রেঞ্চ-এর প্রথম ক্লাস করে আমি বেশ কনফিডেন্ট ফিল করছি যে এই কোর্সটাতেও আমি ভালো করবো … ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যখন আইএমএল-এ ফ্রেঞ্চ কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন ফ্রেঞ্চের কিছুই বুঝিনাই … এমনকি ক্লাসও ঠিকমতো করতেই পারি নাই … ভার্সিটির পরীক্ষা আর ফ্রেঞ্চের পরীক্ষার মধ্যে সবসময় ক্ল্যাশ লাগতো … এবার আলিয়স ফ্রঁসেস এ আশা করি ৬ মাসের কোর্সটা সাক্সেসফুললিই শেষ করতে পারবো … আব্বু সেই বহু বছর আগে যখন ফ্রেঞ্চ ল্যাংগুয়েজ কোর্স করেছিলো এই আলিয়স ফ্রঁসেস-এ, সে নাকি ৯৮% নাম্বার পেয়েছিলো … সেটা নাকি সেই সময়কার রেকর্ড মার্ক ছিলো … আব্বুর মতো এত বড় অ্যাচিভমেন্ট হয়তো করতে পারবো না, কিন্তু ভালো করবো এইটুকু কনফিডেন্স তো পেলাম …
এবার জাপানিজ স্টাডিজ-এও ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে নাকি লোপা ম্যাম পুরাই দৌড়াবে … প্রতি ক্লাসে উনি একটা করে লেসন শেষ করছেন … খালি বুন কেই-টুকুই বুঝিয়ে দেবেন, আর রেন সু আমাদের করতে হবে … ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝতে তো আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না … কিন্তু ওভারলোড হয়ে যায় কি না তাই ভাবছি … আমাদের ক্লাসে এমনিতেই হাতে গোনা ৪/৫ জন ছাড়া কেউ ল্যাঙ্গুয়েজ খুব একটা ভালো পারে না … এই স্পিড ট্রেনের ধাক্কা সামলাতে পারবে কি না কে জানে! …
সে যাই হোক, জাপানিজ স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের আরেকটা কাহিনী বলার আছে … গত সপ্তাহে যে আমি ক্লাসে লোপা ম্যাম’এর সাথে এত কথাবার্তা বললাম, তারপর যে লিখেছিলাম যে আল্টিমেটলি জাপানিজ স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে ঘটনাটা এখন এভাবে ছড়াবে যে ‘ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রামে চান্স পাইনাই দেখে আমি কান্নাকাটি করেছি’ … ব্যাপারটা অন্তত টিচার্স মহলে সেভাবেই ছড়িয়েছে বলে মনে হলো … এই উইকে দিলরুবা ম্যাম ক্লাসে এসে কতক্ষণ আমার মন খারাপ কি না সেটা নিয়ে গবেষণা করলেন … তারপর ক্লাস শেষে আবার বললেন যে ‘কি? আপনি নাকি কান্নাকাটি করেছেন? হতাশ হবার কিছু নাই … ট্রাই করতে থাকেন’ … দিলরুবা ম্যাম-এর সাথে আমার তর্কে যেতে ইচ্ছা করছিলো না দেখে চুপ করে রইলাম … নইলে আবার হয়তো মুখ খুলতাম … ইস্যুটা তো পারটিকুলারলি এইটা না যে আমি ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রামে চান্স পাইলাম না, আরেকজন চান্স পেয়ে গেলো! … আমার গায়ে লেগেছে লোপা ম্যামের এই কথাটা যে প্রিভিয়াস রেজাল্ট হচ্ছে জরুরি! তারপর আমাকে উনি যখন সরাসরিই বললেন যে ‘তোমার অনার্সের রেজাল্ট তো দেখেছি! তুমি তো নেক্সট প্রোগ্রামগুলোতেও এই রেজাল্টের জন্যই চান্স পাবা না!’ তখন আমার খুব বেশিই গায়ে লাগলো কথাটা … আমি এখানে জাপানিজ স্টাডিজ-এ পড়ছি, পাঠাবে জাপানে, তাও জাপানিজ স্টাডিজ রিলেটেড কোর্সে … অথচ ইভালুয়েশনে এখনকার এই সাব্জেক্টের রেজাল্ট না দেখে দেখবে আগে আমি কি করে এসেছি! কি অদ্ভুত! … এইখানে যে আমি অন্তত প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে আছি, সেইটা জরুরি না? নাকি এসএসসি, এইচএসসি, অনার্সে কি করে আসছি সেইটা জরুরি?
তো, এর মধ্যে আবারো সিভি চেয়েছিলো সবার কাছ থেকে … সামনে নাকি আরো কি কি প্রোগ্রামের জন্য সিলেকশন আছে … আমি ইচ্ছা করেই সিভি জমা দেই নাই … বলেই যখন দিয়েছে যে আমি সামনের প্রোগ্রামগুলোতেও চান্স পাবো না, তাহলে আমি সিভি দেবোই বা কেন? … ৩ তারিখে সিভি জমা দেয়ার লাস্ট ডেট ছিলো … ৪ তারিখে রাতে প্রতীতি ফোন করে বললো যে লোপা ম্যাম নাকি আমাকে জরুরি ভিত্তিতে খুঁজতেসে! ফোন করতে বলসে! … তো আমি ফোন দিলাম … উনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই তুমি সিভি জমা দাও নাই?’ ~’না ম্যাম’ ~ ‘কালকে সকাল ১০টার মধ্যে আমার ডেস্কে সিভি দিয়ে যাবা’~’সকালে তো স্কুল’~’বিকালে এসে লাভলু’র কাছে দিয়ে যাবা’ … আমাকে একবারও জিজ্ঞেস করলো না কেন দেই নাই! … তাইলেই তো বলতাম যে আপনিই তো বললেন যে চান্স পাবো না! তাহলে সিভি দিয়ে শুধু শুধু কষ্ট বাড়াবো কেন?
যাই হোক, গতকালকে আবার যারা সিভি দিয়েছে তাদের সবার ভাইভা নিয়েছে … একেবারে ১০ম ব্যাচ থেকে ১৪ ব্যাচ পর্যন্ত … ভাইভায় আমাকে ৩টা অপশন-এর কথা বললো, ইকোনমিক্স,মিডিয়া অ্যান্ড সোস্যাইটি, ল্যাঙ্গুয়েজ … আমি মিডিয়া অ্যান্ড সোস্যাইটিই চুজ করলাম … যেহেতু থিয়েটার করি, পড়ালেখার উৎসাহও এইসব কালচার, আর্ট এইসব নিয়েই, সো মিডিয়া, কালচার, জাপানিজ সোস্যাইটি রিলেটেড প্রোগ্রামগুলোতেই ইনভল্ড হবার আগ্রহ বেশি আমার … লোপা ম্যাম জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ-এর এফিসিয়েন্সি টেস্টের জন্য কিছু জাপানিজ ভাষায় প্রশ্ন করলো … কিছু বুঝলাম, কিছু বুঝলাম না … এদিকে জিকোসোকাই বলতে গিয়ে একটা প্যাচ লাগায় ফেললাম … ‘বাংলাদেশ কারা কি মাশতা’ বলার সাথে সাথেই লোপা ম্যাম কেমন জানি একটা ‘হায় হায় কি বলে’ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো … আমি তখনও আমার ভুলটা ধরতে পারলাম না … অসহায়ের মতো তাকায় রইলাম … ম্যাম হেসে দিয়ে বললেন, ‘আচ্ছা, কন্টিনিউ’ … আমি ভাবছিলাম যে ভুল তো বলি নাই … হয়তো বাংলাদেশে বসে থেকে ‘বাংলাদেশ থেকে এসেছি’ বলছি, এইটাই ভুল … পরে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ মাথায় ক্লিক করলো যে আমার তো বলা উচিৎ ছিলো ‘বানগুরাদেশু কারা কি মাশতা’! … আমি তো বাংলাদেশ-এর নামটা জাপানিজে বলি নাই! … আবারো মনের মধ্যে ঝিলিক দিয়ে উঠলো যে লোপা ম্যাম একদিন বলেছিলেন যে আমি জানা জিনিসও ভুল করি! …
মামুন স্যারের সাথেও আমার কথাবার্তা খুব একটা জমে নাই … আর গত সেমিস্টারের পরে এমনিতেই আমার প্রতি স্যারের অ্যাপ্রোচ নেগেটিভ … আর জাপান স্টাডি সেন্টারে তো মামুন স্যারের একরকম অটোক্রেসি আছেই … দেখা যাবে উনি বললো যে প্রজ্ঞাকে নেয়া যাবে না, তখন ওইটা আর কেউ ডিফেন্ড করবে না … একমাত্র আবুল বারাকাত স্যার ছাড়া … কিন্তু আমাকে যেহেতু বারাকাত স্যার চেনে না, আর ডিপার্টমেন্টে আমি সময় দেইনা বলে আমার একটা বদনাম আছে, সো টিচাররা আসলে সহজেই বায়াসড হয়ে বলতে পারবে যে আমি আসলে খুবই বুকিশ একজন পারসন … কিন্তু এমনিতে কাজের না …
তবে, এসব জায়গায় তো প্রি-সিলেকশন একটা থাকেই … প্রতীতিকে যেভাবে সিলেক্ট করেছে সেটা সবারই চোখে লেগেছে … কেউ কিছু জানেই না, হঠাৎ করে কথা নাই বার্তা নাই কি বেসিসে প্রতীতি সিলেক্ট হয়ে গেলো সেটা বেশ ঘোলাটে অনেকের কাছেই … তারওপর আমার মতো করে আবার যদি কেউ মুখের ওপর বলে বসে যে এই সিলেকশন প্রসেস আনফেয়ার? … ফলে ইন্টারভিউ সিস্টেমটা অনেক ভালো একটা শিল্ড! এখন প্রি-সিলেক্টেড স্টুডেন্ট-দের নাম ঝুলিয়ে দিয়ে বলবে যে যারা সিলেক্টেড হয়নাই তাদের ইন্টারভিউ ভালো হয়নাই! … কেউ তো আর কারো ইন্টারভিউ দেখে নাই … এমনকি নিজের ইন্টারভিউ’র ইভালুয়েশনেও কি দেখা হলো সেইটাও কেউ কংক্রিটভাবে বলতে পারবে না … সো, নাও জাপানিজ স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট ক্যান হ্যাভ আ ‘ফেয়ারনেস’ শিল্ড উইথ হুমএভার দে সিলেক্ট ফর এনি এম্বিগুয়াস রিজন! …
অন দিজ ডে অনুযায়ী আজকে সেই বিশেষ দিন যেদিন শহিদুল্লাহ স্যার আর নজরুল স্যার মিলে আমার থিসিস পেপার সাবমিশনের ডেট এক্সটেনশনের যেই অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছিলাম, সেটাকে রিজেক্ট করেছিলেন … তাও আগের দিন অ্যাপ্লিকেশন না পড়েই উনারা ১০ দিনের এক্সটেনশন পারমিট করে দিলেন … আর পরদিন ডেকে বললেন যে আমি থিসিস পেপার সময়মতো জমা দিতে না পারার পেছনে যেই কারণ দেখিয়েছি সেটা কোনো ভ্যালিড রিজন না! … আমি লিখেছিলাম যে কিছু মানসিক বিপর্যস্ততার কারণে আমি থিসিসের কাজ করতে পারিনি … কথা তো ভুল ছিলো না! … আসলেই তো আমি ওই সময়টায় মেন্টালি খুব ডিরেইল্ড ছিলাম … আর সেই কারণটাই আমি অ্যাপ্লিকেশনে লিখেছি … আর সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের একজন টিচার একজন স্টূডেন্ট-এর ‘মানসিক বিপর্যস্ততা’ ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দেবে না, সেটা কি আর আমি ভেবেছি? … তো, এইরকম কারণ কেন দিলাম, সেজন্য শহিদুল্লাহ স্যার এবং নজরুল স্যার মিলে আমাকে একদিন পারমিশন দিয়ে পরদিন সেই পারমিশন বাতিল করে দিলেন … শহিদুল্লাহ স্যার আবার বলেছিলেনও যে তোমার সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করি! …
যদি ডেথ নোট এনিমে-টার মতো সত্যি সত্যি কোনো ডেথ নোট থাকতো, আর সেটা যদি একদম ওই এনিমে’র মতোই কাজ করতো, তাহলে আমি যেই কয়েকটা মানুষের নাম অবশ্যই লিখতাম তাদের মধ্যে মনে হওয় শহিদুল্লাহ স্যার আর নজরুল স্যার থাকতো …
এরা নাকি টিচার! …
যাই হোক … আর লিখবো না আজকে … সকালে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি … সারাদিন ধরে ভেবে রেখেছিলাম যে লিখবো … কিন্তু এখন আর ইচ্ছা হচ্ছে না … স্কুল থেকে ৩/৪ জন মিলে ন্যাশনাল মিউজিয়াম গিয়েছি … আরেকবার মনে হলো যে মিউজিয়াম না, শিল্পকলা অ্যাকাডেমি … সেখানে স্কুলের একটা স্টাডি ট্যুর জাতীয় কিছু নিয়ে কথা বলতে গেছি … নায়ীমী ছিলো, কাশফিয়া আপু ছিলো, আরেফিন স্যার ছিলো … এইটুকু মনে আছে … আর কে কে সাথে ছিলো মনে নাই … নিজে মনে রাখার জন্য স্বপ্নটা এইটুকুই লিখে রাখলাম … বাকিটুকু এখানে লিখবো না … একটু বেশিই সেনসিটিভ … আপাতত কন্টেন্টটা পাবলিকেবল মনে হচ্ছে না …
তো … শেষ করি … আজকের মতো … অনেক কিছুই তো লিখলাম …