দিনযাপন | ২২০৭২০১৫

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আলসেমি লাগছিলো বলে বসে বসে ‘ইন্সারজেন্ট’ মুভিটা দেখলাম … তারপর থেকে কি জানি কি হয়েছে, সারাদিনে অনলাইনের একটা মুভির লিঙ্কও খোলা গেলো না … অবশ্য সারাদিন তো ঘরের যাবতীয় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাগজপত্রই গুছালাম … বিকেলবেলাটায় একটু মুভি দেখতে চেয়েছিলাম আর কি … সেটা হলো না দেখে দিলাম ঘুম … ঘুম থেকে উঠে এমন আলসেমি লাগলো যে বসে বসে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলা শূর করলাম আবার …

গতকালকে দিনযাপন লিখে পোস্ট করে ফেলার বেশ কিছুক্ষণ পর মনে পড়লো বিকেলে কি স্বপ্ন দেখেছিলাম … দেখছিলাম যে ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ির শো আছে সন্ধ্যায় … আমি গেছি নোবেল ভাইয়ের বাসায় … সেই বাসা আবার মগবাজার টাইপ কোনো একটা এলাকায়, বাসায় আবার নোবেল ভাইয়ের মা-ও আছেন [ নোবেল ভাইয়ের মা বেঁচে থাকতে দেখতে ক্যামন ছিলেন জানি না … কিন্তু স্বপ্নে যেকোনো একজন মহিলাকে উনার মা হিসেবে দেখেছি] । নোবেল ভাই আবার সেট লাগানোর জন্য তাড়াতাড়ি শিল্পকলায় গেছেন … আমি দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে একটু ফ্রি সময় পেয়েছি, আর একটু পরে রেডি হবো করতে করতে তারমধ্যেই কখন যেন ঘুমিয়েও গেছি … উঠে দেখি সাড়ে ৫টার মতো বাজে … আমার তো মাথা-মুথা খারাপ হয়ে গেলো … আমার তো এই নাটকে ভিডিও চালাতে হয়, প্রজেক্টর সেটআপ করে ভিডিও-সাউন্ড এসব চেক করার ব্যাপার আছে … এখন ক্যামনে কি হবে! আবার অবাকও লাগলো যে কেউ ফোন দিয়ে দেরি করছি কেন সেটাও তো জিজ্ঞেস করলো না এখন অবধি … এইসব ভাবতে ভাবতে বাসা থেকে বের হয়েছি … দেখলাম যে আরেকটা কই জানি চলে গেছি … সেটা আবার স্বপ্নের মধ্যে মিরপুরের বাসার গ্যারেজ বলে আইডেন্টিফাই করলাম … কিন্তু সেটা আসলে দেখতে লাগছিলো মুগ্ধদের বাসার গ্যারেজের মতো … সেখানে আবার আমাদের বাসার ফার্নিচারের কাজ হচ্ছে … সেই কাজ আবার যারা করছে তারা দেখতে শাওন দা আর রাফি ভাই-এর মতো , কিন্তু আসলে অন্য  লোক … আমি স্বপ্ন দেখতে দেখতেই ভাবছি যে আমার না শিল্পকলা যাওয়ার কথা, অলরেডি ৬টার বেশি বাজে … আমি কেন এখানে আসলাম … একবার ভাবছি বিপ্লবকে ফোন করে বলি যে দেরি হলে যেন ও শো শুরু করে দেয় … আবার ভাবছি যে আমি যে ওখানে এখনো যাই নাই, কেউ কেন ফোন দিয়ে অস্থির হয়ে যাচ্ছে না! পাভেল ভাইও কি আমাকে খুজতেসে না? … এইসব ভাবতে ভাবতে সিএনজি খোঁজা শুরু করলাম, কিন্তু কোনো সিএনজি যাবে না … আমি হাঁটা শুরু করে পাশের বাড়িটা ক্রস করেছি কি করিনাই, এর মধ্যেই বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেলাম … দেখলাম যে ওখানে স্কুলের সব ক্লাসমেটরা … তখন হঠাৎ আমার খেয়াল হলো যে একটা রিইউনিয়ন তো ছিলো আজকে সন্ধ্যায় … তখন ভাবতে শুরু করলাম যে দেরি যখন হয়েই গেছে, আর কেউ যখন খোঁজখবরও নিচ্ছে না, তাইলে আমি আর শো-তে গেলেই কি, না গেলেই কি, রিইউনিয়নেই থাকি! … এইটুকুর পরে আরও কি কি জানি টুকটাক দেখেছিলাম … সেগুলা আর মনে নাই …

আজকে সকালেও কি কি জানি সব অদ্ভুত জিনিসপত্র দেখছিলাম স্বপ্নে … একটুখানি মনে আছে যে এই স্বপ্নেও নোবেল ভাইয়ের একটু রেফারেন্স ছিলো … দেখছিলাম যে আমার ঢাকা ইউনিভার্সিটির বান্ধবী মেহনাজ হঠাৎ করে যোগাযোগ করে জানতে চাইছে যে সন্ধ্যায় সর্বনামের নাকি কি শো আছে, সেটা কোথায় হবে … মেহনাজের কাছে নাকি একটা স্যাক্সোফোন আছে, সেইটা নাকি নোবেল ভাই চেয়েছে … প্রথমে অবাক হলাম যে মেহনাজ-কে নোবেল ভাই পাইলো কই … তারপর এটাও অবাক হলাম যে সর্বনামের কেউ তো স্যাক্সোফোন বাজায় না, তাইলে এই ইন্সট্রুমেন্ট-এর কি দরকার … তারপর মেহনাজের সাথে কথা-বার্তায় বুঝলাম যে নোবেল ভাই আসলে মেহনাজ-কে পটানোর চেষ্টা করতেসে, সেজন্য কথায় কথায় শুনসে যে মেহনাজের কাছে এই জিনিস আছে, ওকে বলসে ওইটা নিয়ে শো-এ যেতে … এই চান্সে মেহনাজের সাথে তার একটু সময়ও কাটানো হয়ে যাবে, এইটাই আসলে মেইন উদ্দেশ্য … আমি আবার তখন বেশ বিরক্ত হলাম যে আর যার যার সাথেই উনি এইসব করুক, আমার বান্ধবীর সাথে এসব করার সুযোগ উনাকে দেয়া যাবে না … আমি তখন আবার মেহনাজকে বলে দিলাম যে স্যাক্সোফোনটা তখন বলসিলো যে লাগবে, কিন্তু এখন আর লাগবে না, ওর কষ্ট করে আর ওইটা নিয়ে আসতে হবে না … এরপরে আর কি হইসিলো সেইটা আর মনে নাই …

কি কি যে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখি! … আগা-মাথা নিজেই বুঝি না! …

আর কি-ই বা লিখবো আজকে? … আর তো তেমন কিছুই ঘটে নাই …

আজকে তো আর রাত জেগে মুভি দেখা হবে না … তাই ঘুমিয়ে পড়বো তাড়াতাড়ি … কালকে আবার ঘুম থেকে উঠে কিছু জিনিস গুছিয়ে টিয়ামের বাসায় যাবো …

Leave a comment